ঢাকা, Thursday, 2 May, 2024

coldশৈত্যপ্রবাহে দিশেহারা বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু কেন? দাদা-নানার কাছ হতে, আমরা শুনেছি যে, মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগে, কিন্তু এবারের শীতের প্রকোপ অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি কিন্তু এই শীততো থাকার কথা কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে, তবে এর বিপরীত হলো কেন? এর উত্তর হল, আবহাওয়া ও জলবায়ুর একটি বড় পরিবর্তন।

এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী হলো উন্নত বিশ্ব। বিশ্বে কার্বনডাই অক্সাইড বৃদ্ধির কারণে এই জলবায়ুর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। অতি মাত্রায় বৃষ্টি আবার অতি মাত্রায় খড়া আর বাংলাদেশের ইতিহাসে এই রকম শীত পড়েনি গত ৭০ বছরে। এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ আমাদের দেশে সর্বনিম্ন তাপমার্তা হল ২.৬। যা গত ৭০ বছরের মধ্যে হয়নি। এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্য মহাদেশে তার উল্টো। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৩৯ সালের পর তা সেই দেশের সর্বোচ্চ বলে ধারণা করা হচ্ছে। একদিকে শীতে মানুষ মরছে, অন্যদিকে গরমে অস্ট্রেলিয়ার মানুষের গায়ের বস্ত্র খুলে রাস্তায় হাটছে। এর জন্য দায়ী মানুষের খামখেয়ালীপণা। বড় বড় মিল-কারখানার দোয়া, গাড়ির দোয়া, ইটের ভাটার কালো ধোয়া এবং ইট পোড়ানোর জন্য গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বাড়ি তৈরীর জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত বন উজাড় করছে।

এর ফলে সুনামি জলোচ্ছ্বাস অতি খড়া, অতি বৃষ্টি আর নতুন ইতিহাস ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্র ও স্থলভাগের তাপমাত্রায় পরিবর্তন আসছে। এর ফলে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এর জন্য অতি শীত পড়ছে আর এই শীতের ফলে যে সমস্যায় পরতে হয়, তা হলো শীতের সময় তাপমাত্রা কমার সঙ্গে কমতে থাকে বাতাসের আর্দ্রতা। এই শুষ্ক আবহাওয়া বাতাসে ভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া শুষ্ক আবহাওয়া আমাদের শ্বাসনালির স্বাভাবিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে ভাইরাসের আক্রমণ হয় আরও সহজ। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রার তারতম্যের সঙ্গে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।

আর যে ধরনের রোগ হতে পারে তা হলো জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা খুশখুশ করা, হাতে-পায়ে ব্যথা বা শরীর ম্যাজম্যাজ করা ইত্যাদি। আর এই শীতে শিশুদের নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তাই সাবধান হতে হবে শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে।