প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৯ ১২:১০ পিএম
nari

nariইতিহাসে জানা যায়, ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে যে মানুষটির নাম পাওয়া যায়, তিনি হলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। কিন্তু ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত এই তথ্য নাকি সত্য নয়! ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা নাকি করেছিলেন এক মুসলিম নারী।

এই সত্যকে দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমে গোপন করা হয়েছে। ইংলিশ ইতিহাসবিদ ট্রেভোর রয়েলের বইতে এমনটিই বলা হয়েছে। তার দাবি, ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা বানিয়েছিলেন দেশটির সিভিল সার্ভিস অফিসার বদরুদ্দীন তায়েবজীর স্ত্রী সুরাইয়া তায়েবজী।

এদিকে ট্রেভোরের দাবি, সুরাইয়ার করা নকশা পণ্ডিত জওহারলাল নেহেরুর ভালো লাগায় তিনি নিজের গাড়ীর বনেটে তা লাগিয়ে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেটাই ভারতের জাতীয় পতাকার মর্যাদা পায়।

তাছাড়া এই নারী অহিংস স্বাধীনতা আন্দোলনেও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। এই সত্যটিও কখনো সামনে আনা হয়নি। ভারতীয় ইতিহাসবিদদের লেখায় সুরাইয়ার নকশা করা পতাকার তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিদেশি বেশ কিছু লেখকের লেখায় সুরাইয়ার কথা উঠে এসেছে। ফেরদৌস বেকনের ‘ভারতের ইতিহাস বিকৃতি ও সুরাইয়ার অস্বীকৃতি’ নামক লেখায়ও আছে এই ইতিহাসের বিস্তারিত।

এ ব্যাপারে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে সর্বত্র যে নামটি পাওয়া যায় সেটি হলো পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। কিন্তু তিনি কী বাস্তবে ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার? না!

বরং অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে এক মুসলিম নারীর নাম। যার নাম সুরাইয়া বদরুদ্দিন তায়েবজি। সুরাইয়ার স্বামী ছিলেন বদরুদ্দিন ফাইজ তায়েবজি। তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) অফিসার হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।

সে সময়েই ভারতের জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেন তার স্ত্রী। এরপর নেহরুর কাছে পতাকাটি নিয়ে গেলে তিনি তা পছন্দ করেন এবং তার গাড়িতে লাগিয়ে নেন। এরপর এ পতাকাটিই গৃহীত হয় ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে।’

তবে ডিজাইনার হিসেবে অজ্ঞাত কারণে কখনোই সুরাইয়ার নামটি সামনে আসেনি। সুরাইয়া তায়েবজির তৈরি করা জাতীয় পতাকাটি প্রথম গৃহীত হয় ১৭ জুলাই ১৯৪৭ সালে। ভারতীয় ইতিহাসবীদের লেখায় সুরাইয়ার তৈরি করা পতাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ইংলিশ ইতিহাসবিদ ট্রেভোর রয়েলের বইতে সুরাইয়ার নাম পাওয়া যায়।

এদিকে ব্রিটিশ এ ইতিহাসবিদ লিখেছেন, ‘ভারতের ইতিহাসের মাঝে চলমান বিতর্কের মাঝে আরেকটি হলো জাতীয় পতাকার ডিজাইন একজন মুসলমানের করা, (সুরাইয়া) বদর-উদ-দিন তায়েবজি।

এদিকে ভারতের জাতীয় পতাকার কেন্দ্রে ২৪টি দণ্ডযুক্ত নীল ‘অশোকচক্র’সহ গেরুয়া, সাদা ও সবুজ আনুভূমিক আয়তাকার ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা। এ পতাকার কেন্দ্রে রয়েছে অশোকচক্র, যা সম্রাট অশোক নির্মিত সিংহ শীর্ষযুক্ত অশোকস্তম্ভ থেকে নেয়া।

সম্রাট অশোক হিন্দু-মুসলিম সবার নিকটই শ্রদ্ধেয় হওয়ায় এ অশোকচক্রও গৃহীত হয় সবার নিকট। স্বাধীনতা প্রাপ্তির কয়েকদিন পূর্বে ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই বিশেষভাবে গঠিত গণপরিষদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে ভারতের জাতীয় পতাকাকে সব দল ও সম্প্রদায়ের নিকট গ্রহণযোগ্য করে হতে হবে।

পাঠকের মতামত

irfan_khan

মা’রা গেছেন ইরফান খান

না ফেরার দেশেই চলে গেলেন ইরফান খান। ৫৪ বছর বসেই চলে গেলেন বলিউড অভিনেতা ইরফান ...
siria

১৩ বছর ধরেই তারা লকডাউনে

‘লকডাউন’ শব্দটির সঙ্গে বিশ্ব নতুন পরিচিত হলেও এ বাস্তবতার সঙ্গে অনেক আগেই মানিয়ে নিয়েছে ফিলিস্তিনের ...
govt

বাড়ছে না আর সরকারি ছুটি!

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এর সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রায় এক মাসেরও ...