কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই দুই শিক্ষার্থী পাস করার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ ফলাফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এয়াদুল হোসেন (রোল-৭৬৮২) ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসা. সাথী আক্তার (রোল-৪৪৭০)। এয়াদুল হোসেন পেয়েছে জিপিএ-৩ দশমিক ৫৮। তার মোট নম্বর ৩৭৮। সাথী আক্তার পেয়েছে জিপিএ-২ দশমিক ৫০। তার মোট নম্বর ৩০৫।
জানা গেছে, সারাদেশে গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারা ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েও পাস করায় শিক্ষকরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। অবাক হন দুই শিক্ষার্থীর পিতা-মাতাও। পুরো এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বেতিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হামিদা আক্তার ও মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুশিউর রহমান।
ভুলের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্যে ভাগ্য খুলেছে এয়াদুল ও সাথি আক্তারের’। এ যদি হয় শিক্ষার অবস্থা তাহলে কোমলমতি শিশুরা আর কি শিখবে?
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা নাসরিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ভুল সংশোধনের চেষ্টা চলছে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত