ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের মোট ১১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে বকশীবাজার মোড়ে পেনাং রেস্টুরেন্টে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেস্টুরেন্টে বসাকে কেন্দ্র করে মারামারির সূত্রপাত হয়। এরপর বকশীবাজার মোড়ে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রড় ও লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয়। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে ঢামেকের ফজলে রাব্বী হল শাখা ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগ এ ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। ঢাবির এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং একাত্তর হলের নেতাকর্মীরাও যোগ দেয়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আশপাশের সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এতে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আল আমিন, এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাফফার ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহাব বিন রিয়াজ আহত হয়েছেন। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
এছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশন এর ক্যামেরাম্যান আব্দুল লতিফকে মারধর করে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এসময় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পুলিশের লালবাগ জোনের এডিসি কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে তৎপর ছিল। ঢাবির প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত