কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার ফটোসেশন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান মনির। তিনি যে জমির ধান কেটেছেন, তা ছিল অনেকটাই কাঁচা। ধানের পাতা ও গোছা ছিল সবুজ রঙের।
এ কারণে ধানার কাটার ওই ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। অসংখ্য মানুষ ধান কাটার এই ঘটনাকে তামাশা এবং কৃষকদের সঙ্গে প্রহসন বলে অভিহত করেছেন। আর এই ভিডিও নিয়ে হাসি-ঠাট্টা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ তো আছেই।
এদিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সংসদ সদস্য (এমপি) তানভীর হাসান মনির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, মূলত পাকা ধানই কেটেছেন। কিন্তু কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে।
ইংরেজি দৈনিক ঢাকা টাইমস তার এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বক্তব্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এমপি মনির বলেছেন, ‘আমি মূলত পাকা ধান কেটেছি। তবে কিছু লোক স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন কাঁচা ধান কাটা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব’।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুন্দরপুর এলাকার কৃষক লতিফ মিয়া ও তার ছেলে সুজন মিয়া ১৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগান। জমিটি বৈরান নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ও জমিতে পানি ওঠার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় ভালোভাবে পাকার আগেই সেই ধান কাটছিলেন কৃষক লতিফ মিয়া ও তার ছেলে সুজন।
এমন সময় ওই জমির পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি কয়েক গোছা ধান কেটে দেন।
এমপির সঙ্গে থাকা গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজও কয়েক গোছা ধান কেটে ফটোসেশন করেন। আর তাদের সঙ্গী কয়েক তরুণ ধান কাটার সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিওবন্দী করেন। এক তরুণকে ওই ভিডিওতে আবার ধারাভাষ্য দিতেও দেখা যায়।
পাঠকের মতামত