২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে খুলনায় পেঁয়াজ বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে ট্রাকে করে ডিলাররা পেঁয়াজ বিক্রি করবেন। এ দামে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
এ ব্যাপারে টিসিবির খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক রবিউল মোর্শেদ জানান, বুধবার থেকেই সুলভ মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরুর কথা ছিল। তবে তা পৌঁছানো এবং গুদামজাতে দেরি হওয়ায় সম্ভব হয়নি। এদিকে খুলনার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের কারণে বুধবার সেখানকার বাজারে পেঁয়াজ ছিল না।মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত খুলনা বড়বাজারে পেঁয়াজ পাইকারি ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে এ দাম ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা ছিল।
এদিকে,পাকিস্তান থেকে ৮২ টন পেঁয়াজ ঢাকার শাহজালাল আন্তরর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৭টা ২০ মিনিটে পেঁয়াজবাহী প্রথম কার্গো উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। চালানটির আমদানিকারক ঢাকার শাদ এন্টারপ্রাইজ। চালানটিতে ৮১ টন ৫০০ কেজি পেঁয়াজ রয়েছে। পেঁয়াজবাহী উড়োজাহাজটি অবতরণের পর চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন আজ বুধবার প্রথম আলোকে জানান, সিল্কওয়ে উড়োজাহাজের ‘সেভেনএল ৩০৮৬’ ফ্লাইটে পেঁয়াজের প্রথম চালানটি এসেছে। এখন দ্রুত শুল্কায়নের প্রক্রিয়া চলছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক রতন কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, চালানটিকে যাতে সংঘ নিরোধ ছাড়পত্র দ্রুত দেওয়া হয় সে জন্য তিন সদস্যের একটি দল কাজ শুরু করেছে।
চালানটি পরিদর্শন করে সংঘনিরোধ ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত আকাশপথে চারটি উড়োজাহাজে পেঁয়াজের চালান আনার সময়সূচি ঠিক হয়েছে। শাদ এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের প্রথম চালান আসবে আজ বুধবার দিবাগত রাত একটায়। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে প্রথম চালানটি এসে পৌঁছাবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্সের পণ্যবাহী উড়োজাহাজে দ্বিতীয় চালান আসবে।
আগামী শুক্রবার তৃতীয় চালান আসবে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে।আকাশপথে পেঁয়াজের চালান আনার জন্য উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার সাত টনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। শাদ এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও এস আলম গ্রুপ অনুমতি নিয়েছে এক হাজার ৯২৫ টনের।
পাঠকের মতামত