শেখ হাসিনাকে বারবার ভারতে আমন্ত্রণ জানালেন মমতা

শেখ হাসিনাকে বারবার ভারতে আমন্ত্রণ জানালেন মমতা

pm প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাকে বারবার ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে যাচ্ছেন। মমতা বলেন, আমরা চাই তিনি বারবার আসুন, আমরা তাকে খুব ভালোবাসি।

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম দিনের উত্তে’জনার মুহূর্ত কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুক্রবার দুপুর ১টায়। ম্যাচ শুরু হওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

ঐতিহাসিক এই ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে কলকাতায় মানুষের মধ্যে চূড়ান্ত আগ্রহ। উত্তেজনার মাত্রা বাড়ার আরেকটি কারণ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি এবং হাজার হাজার বাংলাদেশির কলকাতা আগমন।

মমতা বলেন, বাংলাদেশকে বাংলার মানুষ ভালোবাসে। আমাদের ভাষা সংস্কৃতি শিক্ষা সবই এক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আজ আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার একবার একান্ত সাক্ষাৎ হবে।

তিনি আরো বলেন, তার সাথে কাল ৩ বার দেখা হবে। দুপুরে একবার ইডেন গার্ডেন্সে দেখা হবে, বিকেলে খেলার পর প্রোগ্রামেও আবার দেখা হবে। আর আমি সন্ধ্যা ৬টায় তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে হোটেলে যাব। উনি তো কালকেই চলে যাচ্ছেন।

এই দুই নেত্রীর একান্ত সাক্ষাৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অনেক কৌতূহল শুরু হয়েছে।

‘কারো কাছে হাত পেতে, মাথা নত করে নয়, বাঙালি মাথা উঁচু করে চলবে’

সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সশ’স্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। নিজেরা নিজের দেশকে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই সবাই যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের দেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবেন সেটাই আমি চাই।

তিনি বলেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, কারো কাছে মাথা নত করে নয়, বিশ্ব দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। মুক্তিযু’দ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সশ’স্ত্র বাহিনী সর্বাবস্থায় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সশ’স্ত্র বাহিনী, সব সময়, সর্বাবস্থায় চেইন অব কমান্ড মেনে ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনে তার ভূমিকা রেখে যাবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে দেশপ্রেমিক সশ’স্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *