এবার এক পরিবারে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবার নাম!

এবার এক পরিবারে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবার নাম!

nবঙ্গবন্ধুকে গত ৪৪ বছর ধরে নিভৃতে ভালবেসে আসছেন চাঁদপুরের আবদুল হাই মিয়াজী। তিনি জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার কংগাইশ গ্রামের বাসিন্দা। বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও পাঁচ সন্তানের জনক।

তার ৩ ছেলে ও দুই মেয়ে। সন্তানদের নামও রেখেছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে। তার বড় ছেলে শেখ কামাল (৪০), মেজ ছেলে শেখ জামাল (৩০), ছোট ছেলে শেখ রাসলে (২৬), বড় মেয়ে শেখ হাসিনা (৩৫) ও ছোট মেয়ে শেখ রেহানা (১৪)।

শুধু সন্তানই নয়, নাতি ও নাতনির নাম অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও মেয়ের নামেই নাম রেখেছেন নিজ নাতি-নাতনির।আবদুল হাই মিয়াজীর বয়স ৬২। তিনি পেশায় দিনমজুর।

স্ত্রীসহ ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে সংসার তার। বড় ছেলে আর বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।সরজেমিনে আবদুল হাই মিয়াজীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দো-চালা বসতঘর।

ঘররে সামনেই বড় ছেলে শেখ কামালের জীবিকা নির্বাহের প্রধান বাহন তিন চাকার ভ্যান গাড়ি। ছোটবেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রমী তিনি। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করছেন।

বড় ছেলে আর বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট ছেলে শেখ রাসেল স্নাতক পাস করেছেন। ছোট মেয়ে হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে।

তবে মেজ ছেলে প্রবাসে থাকলেও তেমন সুবিধাজনক অবস্থায় নেই তিনি।শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তানদের নামে নিজের পরিবারকে সাজানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে অনেক বেশি ভালোবাসি।

উনার ব্যক্তিত্ব আর নেতৃত্বকে শ্রদ্ধা করেই নিজের পরিবারকে এভাবে সাজিয়েছি।’জানা যায়, তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪ বছর পর বিয়ে করেন। তার আগেই বঙ্গবন্ধু নিহত হয়েছেন।

সেই ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত দিনে আবদুল হাই মিয়াজী বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন দুপুর ২টা। রক্তের দাগ দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন।

ওই সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর বাসভবন থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে কাঁঠাল বাগানে চাকরি করতেন।বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।

আমি অভাবি মানুষ। ছোট ছেলের একটা সরকারি চাকরি চাই।আবদুল হাই মিয়াজীর ছোট ছেলে শেখ রাসেল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে গিয়েলিাম, কিন্তু দেখা মেলেনি। ।

অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি, এখন একটা চাকরি করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছি। হাজীগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল-উল-আলম লিপন  বলেন, এমন দৃষ্টান্ত অভূতর্পূব। তিনি আরও বলেন, আবদুল হাই মিয়াজীর এমন সাহসিকতা ও মানসিকতা সত্যিই বিরল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *