অবশেষে মন্ত্রীসভায় আসছে রদবদল ও সম্প্রসারণ!

অবশেষে মন্ত্রীসভায় আসছে রদবদল ও সম্প্রসারণ!

pmএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে টানা তিন মেয়াদে সরকার গঠন করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন মন্ত্রীসভা। তবে এর ঠিক ৫ মাসের মধ্যে গত ১৯ মে মন্ত্রীসভায় প্রথম দফায় পরিবর্তন আনা হয়। তবে শিগগির আরেক দফায় সরকারের মন্ত্রীসভায় রদবদল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আকার বড়সড়সহ দপ্তর রদবদলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

জানা গেছে, সরকারের কাজের গতি আরো বাড়াতে মন্ত্রীসভার আকার বাড়তে পারে। দলের জ্যেষ্ঠ দু’একজন নেতা, নবীনদের মধ্যে আরো কয়েকজন, জাতীয় চার নেতার উত্তরসূরি কেউ মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে পারেন।

সূত্র জানায়, ঈদের পরে মন্ত্রীসভার আকার বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চলতি বাজেট অধিবেশন শেষ হলেই বর্তমান মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণ ও রদবদল হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রীসভার আকার বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের স্থান পাওয়া নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি বিএনপির প্রায় সকল সংসদ সদস্য সংসদের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এরই মধ্যে তারা সরকারের কড়া সমালোচনা করে আলোচনায় এসেছেন। ফলে ১৪ দলের শরীকদের মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়া যেতে পারে।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের শীর্ষ নেতা ও বর্তমান সরকারের এক পূর্ণমন্ত্রী বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, খুব শিগগির মন্ত্রীসভার আকার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের পোড় খাওয়া প্রবীণ নেতা, জাতীয় চার নেতার উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে মন্ত্রীসভার সদস্য করা হতে পারে। এছাড়া অর্থমন্ত্রনালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীও যোগ হতে পারে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করে চমক দেখায় ক্ষমতাসীনরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের মন্ত্রিসভায় ৩১ জনই নতুন মুখ। আর মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান নুর ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার। নানা বিতর্কের কারণে মন্ত্রী সভায় স্থান হয়নি শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের। নানা ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে শিরোনাম হওয়া খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলামেরও আর মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি। আওয়ামী লীগের শরীক দলের নেতা রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও হাসানুল হক ইনুর স্থান হয়নি।

নতুন মন্ত্রী সভা গঠনের ৫ মাসের মধ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তন করা হয়। সে সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে শুধু স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী করা হয়েছে। আর স্বপ্ন ভট্টাচার্য্য পেয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারকে শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে। আর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেখবেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ। এছাড়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।-বাংলাদেশ জার্নাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *